লেখক: রশীদ আহমেদ চৌধুরী

আসছে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেটে কর হারে ব্যাপক পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যক্তি পর্যায়ে কর হার ২৫ শতাংশের পরে আরেকটি নতুন ধাপ ৩০% শতাংশ হার যুক্ত হতে পারে। এতে করে ধনীদের কর বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়ে রাজস্ব আয়ে পজিটিভ প্রভাব পড়তে পারে। কর ছাড় ও কর অবকাশ সুবিধা হ্রাস করে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করে ঘাটতি পূরনের লক্ষ্যে কাজ করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে করছাড় বাবদ প্রতি বছর ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরন থেকে বঞ্চিত হয় সরকার। এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসলে আর্থিক খাত অনেক টেকসই ও গতিশীল হয়ে। আমদানী ও সরবরাহ পর্যায়ে কিছু পণ্যে সম্পূরক শুল্ক কমানো হতে পারে।

এ ছাড়া ভ্যাটহারের বিভিন্ন স্তরেও পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে । ঢাকায় গেলো সপ্তাহে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে প্রাকবাজেট বৈঠকে অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী এ পূর্বাভাস দেন। বৈঠকে বাজেটের আকার হ্রাস করা, কোথায় কর কমানো হতে পারে, কোথায় কর বৃদ্ধি করা হতে পারে তার  প্রাথমিক প্রস্তাব গুলো নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সামনে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরা হয়।
আমদানী পণ্য বিশেষ করে খাদ্য ,সার ও মূলধন যন্ত্রপাতির উপর বিদ্যমান শুল্ক হার পরিবর্তনের বিষয়ে আলাপ হয়। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির ২৭ খাতে কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হয় । ৩০ জুনের মধ্যে এ কর অবকাশ সুবিধা প্রাপ্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। মেয়াদান্তে এ কর অবকাশ সুবিধা নতুন করে আর বাড়ানো হবে না। ভ্যাট হারেও পরিবর্তন আসতে পারে। আমদানী ও সরবরাহ পর্যায়ে ভোগ্যপণ্য ও শিল্প খাতের অতি প্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের সম্পূরক শুল্ক তুলে দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।আগামী অর্থ বাজেটে ৫ লাখ কোটি টাকা কর ও শুল্ক আহরনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়।কর্পোরেট কর ও পূজিবাজারে তালিকাভুক্ত উৎপাদনশীল খাতের প্রতিষ্ঠানের উপর কর হার কিছুটা হ্রাস করার সিদ্ধান্ত হয় যা ব্যবসায় খরচ কিঞ্চিত হ্রাস করবে ।

সংসদ সদস্যগনের বিলাস বহুল গাড়ী আমদানীর উপর কিছু শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত হয়। ২৫% শতাংশ শুল্কের সাথে ১৫% ভ্যাট ধার্য্য করার কথা বলা হয়। বেপজার আওতায় পণ্য আমদানীতে সব ক্ষেত্রে শুল্ক মুক্ত সুবিধা না দিয়ে কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়। মোবাইল ফোনের কথা বলায় বাড়তি শুল্ক আরোপ, পুজিবাজারে ক্যাপিটাল গেইনে কর
ছাড় বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়।

নির্মাণ সামগ্রীতে কিছুটা শুল্কারোপ, অর্থনৈতিক জোন ও রপ্তানী প্রক্রিয়াকরন এলাকার
আওতায় পণ্য ও গাড়ী আমদানীতে শুল্কমুক্ত সুবিধা বলবৎ না রেখে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক ও কর আরোপ করার পক্ষে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

লেখক: রশীদ আহমেদ চৌধুরী
আয়কর আইনজীবী
০১৮৩২৮৭৫৬০৬